কিংবদন্তিকে জানুন: টম ক্রুজ

হলিউডের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারার কথা জানতে চাইলে পৃথিবীবাসী নির্দ্বিধায় কার কথা বলবেন? অবশ্যই টম ক্রুজ। দুনিয়া কাঁপানো এই মহা তারকার সফলতার গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই সাফল্যের নেপথ্যে অন্ধকার দিনগুলির কথা ক’জন জানি?

আসুন জেনে নেই।

দুরন্ত শৈশবেই কোনো লেখা, ছাপা পড়া তার জন্য অন্য সবার মত সহজসাধ্য হয়ে উঠছে না। ধীরে ধীরে এই অক্ষমতা রূপ নেয় Learning Disability তে এবং পরবর্তীতে Dyslexia তে পরিণত হয়। সেসময় টম চেষ্টা করতেন তার এই অক্ষমতার ব্যাপারটি বন্ধু কিংবা আশপাশের সবার থেকে আড়াল করতে। হাই স্কুল থেকে শুরু করে তাঁর ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকেও কোনো লেখা পড়তে তাকে চরম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হতো। 

মাত্র ১৯ বছর বয়সে হলিউডের রঙিন দুনিয়ার ক্যারিয়ার শুরুর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অভিনয়কে পরম ভালোবাসায় আলিঙ্গন করে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন শৈশবের অন্ধকার সঙ্গী এই অক্ষমতাকে। যেনো তা তাঁর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে।

অবশেষে তিনি তাঁর পূর্বের সেই জড়তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তা কেটে উঠার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং তিনি এই অক্ষমতা জয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আয়ত্ত করার চেষ্টা করলেন L. Ron Hubbard’s learning method of “Study Technology,” মেথড, যা তার পঠন সক্ষমতাকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিল এবং নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করলো।তবে এক্ষেত্রে মা এবং বোনদের অক্লান্ত চেষ্টা ও সহযোগিতার কথা অকপটে উল্লেখ করতেও ভুলেন না তিনি।

Skip to content