“ভাষা হলো ব্যক্তির অস্তিত্বের প্রমাণ। ‘কথা বলা’ এর প্রকৃত মানেই হলো মানুষের চিন্তার প্রকাশ এবং ওই চিন্তার প্রতিষ্ঠা।”
মারিয়া মন্তেসরি [ইতালির একজন শিক্ষা দার্শনিক]
মানুষ নামক দুই পা ওয়ালা প্রাণীটির আজকের মানুষ হয়ে ওঠার পেছনের একটি অন্যতম অবলম্বন এবং অর্জন হলো কথা বা ভাষা– কথাটি বলেছিলেন জ্যারেড ডায়মন্ড।
মারিয়া মন্তেসরি ভাষাকে মানুষের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত করে, ভাষার সাথে চিন্তার পরিপূরক সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন। ফ্রয়েডের কাছে ভাষা হলো চেতন মন এবং অবচেতন মনের সংযোগসূত্র। অর্থাৎ আমরা ভাষার মাধ্যমে অবচেতন মনের খবর জানতে পারি। ভাষার ব্যবহার দেখেই জানা সম্ভব আপনার অবচেতন মনে কি চলছে।
পদ (শব্দ) পদার্থের চিন্তার আকৃতি দেয়, নাকি পদার্থ পদের বাইরে চিন্তা করতে পারে না- এ বিতর্ক মনোবিজ্ঞানী এবং ভাষাবিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক যুগ থেকেই চলমান। দার্শনিক জ্যাক লাকার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে এ চিন্তা করে যে, ভাষার সীমানাই মানুষের চিন্তার শেষ সীমা নাকি মানুষের চিন্তার বহিঃপ্রকাশের অপর নাম ভাষা।
এই কথা বা ভাষার আছে আবার হরেক রকমভেদ আকথা, কুকথা, উপকথা, সারকথা, প্রভৃতি। এ কথাতেই তর্ক বিতর্ক। কথার অনুষ্ঠান টকশো। কিন্তু এই কথার উৎপত্তি কোথায়? এই প্রশ্নেরই জবাব খোঁজা হবে এই লেখায়। কথা বা ভাষার উৎপত্তি, ইতিহাস এবং বিবর্তন-পরিবর্তন নিয়ে জ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে বলা হয় ফিলোলজি।
ভাষার উৎপত্তি নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকরা কখনই একমত হতে পারেননি। তারা বিভক্ত হয়ে গেছেন বিভিন্ন ধারায়। প্রত্যেক ধারার মধ্যে আবার প্রণীত হয়েছে অনেক অনুকল্প (Hypothesis) এবং তত্ত্ব (Theory)। এ কথা উল্লেখ্য যে, ভাষার উৎপত্তি বর্ণনা করতে গিয়ে পণ্ডিতেরা বিভিন্ন তত্ত্ব, মতবাদ,অনুকল্প প্রদান করেছেন। বর্তমানের আলোকে অতীত অনুমান এই নীতিতেই প্রদান করা হয়েছে এসব তত্ত্বসমূহ।
প্রাকৃতিক শব্দ উৎস
এই ধারার অনুকল্পসমূহের মূল বক্তব্য হলো- ভাষার উৎপত্তি হয়েছে প্রাকমানব এবং আশেপাশের পরিবেশের বিভিন্ন শব্দ উৎস থেকে সৃষ্ট শব্দের অনুকরণের দ্বারা। অর্থাৎ পাখির ডাক, বৃষ্টিপতন বা বজ্রপাতের আওয়াজ অথবা ব্যথা বা দুঃখ পেয়ে উহ্ আহ্ অথবা আনন্দে উল্লাস প্রকাশক শব্দ – এরকম প্রাকৃতিক শব্দ উৎস থেকেই ভাষার উৎপত্তি বলে বর্ণনা করেন এ ধারার তাত্ত্বিকগন।
১৮৬১ সালে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানী (Historical linguist) ম্যাক্স মুলার এ ধারার তত্ত্বসমূহের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তত্ত্ব হলো:-
- ভেউ-ভেউ তত্ত্ব (Bow-wow Theory): মুলার এই মতবাদের প্রবক্তা হিসেবে জার্মান দার্শনিক জোহান গডফ্রে হার্বারের নাম উল্লেখ করেছেন। এখানে বলা হয়েছে যে, কোনো প্রাণীর অথবা পাখির ডাক, কান্না কিংবা গর্জন ইত্যাদি অনুকরণের মাধ্যমে মানুষের প্রথম ভাষা বা কথার উৎপত্তি হয়েছে। যেমন কা.. কা.. করে একটি পাখি উড়ে গেলো, তাকে নির্দেশ করতে পরবর্তীতে কাক বলে ডাকার প্রচলন হলো। এভাবে ভেউ ভেউ বলে কুকুরকে, মিঁও বলে বিড়ালকে বোঝানো। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় এই ধরনের শব্দগুলো বোঝাতে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহৃত হয় যেমন
কুকুরের ডাক বোঝাতে,
বাংলা – ঘেউ ঘেউ।
ইংরেজি – ভউ ওউ (Bow-wow)
চাইনিজ – উ.. উ.. (Wu-wu)
জাপানিজ – wan-wan
রাশিয়ান – gaf-gaf
মোরগের ডাক বোঝাতে,
বাংলা- কুক্কুরুকুর
রাশিয়ান- Kukreiku
জাপানিজ- kokekoko।
- উহ্-আহ্ তত্ত্ব (Pooh-pooh Theory): এ তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, প্রথম কথার উদ্ভব হয়েছিলো মানুষের ব্যাথা, আনন্দ, আশ্চর্য, ক্ষুধা, পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশের স্বাভাবিক সাড়া(Involuntary Response) প্রকাশের মাধ্যমে। যেমন কেউ ব্যথা পেয়ে উহ্ আহ্ করে উঠল অথবা আনন্দে হর্ষধ্বনি কিংবা ক্ষুধায় কাতরানো/গোঙানোর শব্দ। এই তত্ত্বানুসারে প্রথম শব্দ হতে পারে ওওওও… , আআআ.. বা এরকম স্থানীয় শব্দ।
- চুক-চুক তত্ত্ব (Yuk- Yuk Theory): এ অনুকল্পের মূলবক্তব্য এমন যে, আদিমানবেরা হয়তো কোনো কিছু খাবার সময় যে ধরনের চুকচুক কিংবা তরল খাদ্য গ্রহণের সময় ডগডগ এইসব শব্দসমূহকে পরবর্তীতে ঐ নির্দিষ্ট খাবার নির্দেশ করতে ব্যবহার করতো, এভাবেই ভাষার উৎপত্তি।
- সুর-ছন্দ তত্ত্ব (Ding-dong/sing-sung Theory): আবেগ প্রকাশের জন্য অথবা কোনো ঘটনা উদযাপন করতে কিছু অর্থহীন ধ্বনি সুর করে উচ্চারণ করত প্রাকমানব জনগোষ্ঠী। আর এই অর্থহীন সুরেলা ধ্বনিসমূহের ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে ভাষা বলে বর্ণনা করা হয়েছে এই অনুকল্পে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন অনুরণন, প্রতিধ্বনি থেকে অনুকরণ করেই এসব সুরসমূহ তৈরি হয়েছিল বলে পন্ডিতগনের ধারণা
- হেইয়ো হো তত্ত্ব (Yohe-ho Theory): দৈহিক শ্রম জনিত কারণে মানুষ যেসব ধ্বনি অনিচ্ছাকৃত উচ্চারণ করে ফেলে তা থেকেই কথা বা ভাষা উৎপত্তি হয়েছে – এমনটাই এ তত্ত্বের মূলকথা। যেমন আবাসস্থল তৈরির জন্য প্রাকমানবদের পাথর সরাতে হতো অথবা শিকার করার কাজে কখনো সামস্টিক শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হতো। তখন হেঁইয়ো, ওহোহো এরকম শব্দের মাধ্যমেই উদ্ভব ভাষার।
- টা টা তত্ত্ব (Ta-Ta theory): স্যার রিচার্ড প্যাজেট ১৯৩০ সালে এই তত্ত্ব প্রদান করেন। প্যাজেটের মতে মানুষের অবাচনিক যোগাযোগ থেকেই বাচনিক যোগাযোগ তথা কথার উৎপত্তি। যেমন প্রাক মানব জনগোষ্ঠীর কেউ হয়তো কাউকে বিদায় জানাতে গিয়ে হাত নাড়িয়ে টা টা চিন্হ প্রদর্শনের সময় জিহ্বা নাড়িয়ে একবার আকস্মিক বলে ফেলেছিলো টা টা। এভাবেই কথার উৎপত্তি বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্যাজেট।
- সতর্কীকরণ তত্ত্ব: এ তত্ত্বের মূলকথা হলো মানুষ নিজে সতর্ক হতে গিয়ে অথবা সঙ্গীদের সতর্ক করতে গিয়ে ভাষা আবিষ্কার করেছিলো। হিংস্র পশু দেখে নিজেকে বাঁচানো এবং দলের সবাইকে সতর্ক করার প্রচেষ্টা (Drive) মানুষকে কথা বলতে বাধ্য করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভাষা উৎপত্তি বিষয়ক টা টা তত্ত্বে।
- মিথ্যা বলা তত্ত্ব:-বলা হয়ে থাকে যে মিথ্যা হলো মানুষের একটি জন্ম-গ্রোথিত (Inherent) বৈশিষ্ট্য। কোন আদিম মানব হয়তো কোনো খাবারের সন্ধান পেয়েছিল অথবা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস তার দৃষ্টিগোচর হয়েছিলো, তখন এই ব্যাপারটি অন্যদের থেকে লুকোনোর জন্য তাকে মিথ্যা বলতে হয়েছে। মানুষের ভেতরে মিথ্যা বলার এই প্রবনতাই মানুষকে কথা বলা প্রাণী হতে বাধ্য করেছে বলেই এই তত্ত্বে ব্যাখা করা হয়েছে।ভাষার উৎপত্তি বিষয়ক কয়েকটি তত্ত্ব এবং অনুকল্প নিয়ে লেখাটিতে আলোচিত হয়েছে। প্রথম অংশের পরের তত্ত্বসমূহ এখানে বর্ণনা করা হয়েছে]
স্বর্গীয় উপহার
বর্তমানে প্রচলিত কয়েকটি ধর্মগ্রন্থের বানী-
“তিনি (আল্লাহ) আদমকে(প্রথম মানব) সবকিছুর নাম শিক্ষা দিলেন ; কুরআন, অধ্যায় ২, আয়াত (বাক্য) নং ৩১।”
বাইবেলের Book of Genesis এ কুরআনের মতো প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।
“Whatsoever Adam called every living creature, that was the name thereof ; Genesis 2:19”
সনাতন ধর্ম মতে বলা হয় ভাষা হলো ব্রহ্মার স্ত্রী স্বরস্বতী দেবীর দান।
এভাবে বহুল প্রচলিত সকল ধর্মমতে একথা বলা হয়েছে যে ভাষা হলো স্রষ্টা প্রদত্ত মানুষের জন্য একটি বিশেষ উপহার। বিষয়টিকে এ পর্যন্ত অনেকেই পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। গ্রিক লেখক হেরোডেটাস স্যামটিক (psamtik) নামে মিশরের একজন ফারাও সম্রাটের কথা বর্ননা করেছেন। সম্রাট দুইটি নবজাতক শিশুকে লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন একটি খামারে কয়েকটি ছাগল এবং একজন বোবা পরিচারিকার সাথে রেখে দুইবছর পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। দুইবছর শেষে দেখা গিয়েছিল যে শিশুদ্বয় bekos শব্দটি ছাড়া অন্য কোনো শব্দই উচ্চারণ করেনা। যদিও স্বাভাবিক একটি মানবশিশু দুই বছরে অনেক শব্দ এবং দুই শব্দের বাক্যাংশ গঠনের সক্ষমতা অর্জন করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় bekos একটি ফ্রিজিয়ান শব্দ। ফ্রিজিয়ান হলো প্রাচীন তুর্কি ভাষা। পর্যবেক্ষণ শেষে সম্রাট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ফ্রিজিয়ান ভাষা হলো প্রাচীন এবং স্বর্গীয় ভাষা। পরে অন্য আরেক সম্রাট একইরকম পরীক্ষা করে হিব্রু ভাষাকে প্রথম ভাষা এবং স্বর্গীয় ভাষা বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। যদিও এদের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে পন্ডিতজনেরা অনেক ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন স্যামটিকের পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয় যে শিশুদ্বয়ের উচ্চারিত শব্দ bekos হয়তো ছাগলের ব্যা ব্যা ডাকের অপভ্রংশ।
সামাজিক মিথস্ক্রিয়া তত্ত্ব(Social Interaction Theory)
এই তত্ত্বকে হেঁইয়ো হো তত্ত্বের একটি বর্ধিত রূপ বলা যায়। এখানে বলা হয়েছে যে সামাজিক কোনো ঘটনা বিশেষ করে শারীরিক বলপ্রয়োগের সময় কোনো শব্দ হয়তো উচ্চারিত হয়েছে যেটিই ছিলো মানুষের মুখনিঃসৃত প্রথম কথা। এভাবে একটি শব্দ একদল প্রাক মানব থেকে অন্য আরেকদলের কাছে পৌঁছায়। এভাবেই কথার উদ্ভব বলে ধারনা করেন এ ধারার তাত্ত্বিকগন।
- শারীরিক সক্ষমতা (Physical adaptation): মানুষ যদি কথা বলতে পারে তবে অন্য কোনো প্রাণী কেনো পারেনা?এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় এই ধারার তাত্ত্বিকদের তত্ত্বসমূহে। তাদের মতে মানুষের দাঁতের গঠন, মুখের পেশিসংখ্যা, ঠোঁটের আকার মানুষের কাছাকাছি গঠনের প্রানী শিম্পাঞ্জি কিংবা বানরের থেকেও অনেক আলাদা। মানুষের স্বরযন্ত্রের (Larynx) অবস্থান অন্য প্রানীদের থেকে ভিন্ন। অন্য প্রানীদের থাকলেও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন স্বরপর্দা (Vocal cord) মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য। গলবিল (Pharynx) নামে মানুষের গলায় একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে যা কথা বলার শব্দ তরঙ্গকে বহুগুণে বিবর্ধিত করে। সুতরাং এসব ব্যতিক্রম শারীরিক সক্ষমতাই মানুষের কথা বলার প্রেরনা হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন এ ধারার পন্ডিতজনেরা।
- যন্ত্র আবিষ্কার এবং মস্তিষ্কের কারসাজি: মানুষ কথা বলে যোগাযোগ করার আগে থেকেই হাত পা নাড়িয়ে অবাচনিক যোগাযোগ করতো। একসময় মানুষ শিকার এবং জীবনরক্ষার জন্য পাথর, লোহা এরকম বিভিন্ন ধাতু দিয়ে অস্ত্র/যন্ত্র বানাতে শুরু করে। এই যন্ত্র বানাতে গিয়েই প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ অংশের ব্যবহার শুরু হয়। এভাবে মানুষ তার গুরুমস্তিষ্কের দুই অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। আমরা জানি মানুষের কথা বলে যোগাযোগ করার জন্য মস্তিষ্কের দুই অংশের পারস্পারিক সমঝোতা একটি জরুরী বিষয়। এভাবেই মানুষের মস্তিষ্ক কথা বলে যোগাযোগ করার উপযুক্ত কর্মক্ষমতা লাভ করে, উদ্ভব হয় সহজ থেকে জটিলতর ভাষার।
- জিনগত প্রভাব (Genetic Impact): জিন তথা বংশানু বলতে বোঝায় বৈশিষ্ট্য নির্ধারক এমন একটি কোষ অংশ (Cell particle) যা বংশানুক্রমে পূর্ব-বংশধর থেকে উত্তর-বংশধরের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। জেনেটিক্স এ বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের মতে ভাষা বা কথা বলা বৈশিষ্ট্যটি মানুষের একটি জিনগত বৈশিষ্ট্য। মানুষের কাছাকাছি জেনেটিক কোড বিশিষ্ট প্রাণী শিম্পাঞ্জি,বানরের কিংবা প্রাক মানবের শরীরে তা ছিলো প্রচ্ছন্ন হিসেবে। বিবর্তনের ধারায় যখন কথা বলার জন্য দায়ী জিনটি সহপ্রকট জিন অথবা অন্য আরেকটি প্রচ্ছন্ন জিনের প্রভাবে প্রকট হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে তখন মানুষ কথা বলার ক্ষমতা লাভ করে। এমনটাই বিশ্বাস বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীদের। এখনো নিশ্চিত করে কথা বলা জিন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তবে এটি গবেষণাধীন। এই তত্ত্বটিকে নো’ম চমস্কির ভাষা অর্জন যন্ত্র অনুকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়।
ভাষা স্বর্গীয় উপহার, প্রাকৃতিক উৎসের অনুকরণ নাকি জিনগত কোনো বৈশিষ্ট্য! সে বিতর্ক এখনো কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। যদিও ভাষার উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক করা Royal Linguistic Society London ১৯ শতকের শেষের দিকে নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করেছে। সুতরাং কথা শুরুর কথা নামক নিষিদ্ধ আলোচনাটির এখানেই ইতি টানা হলো।
তথ্যসূত্র:
1.The Study Language; George Yule
2. Introduction To Linguistic; Mohammad Moniruzzaman
3. The Origin of Language; Edward Vajda)
4. Media, communication and Human ;Wilbur schramm
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য (Communication Disorders) বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে পাঠগ্রহন চলছে। প্রতিবন্ধকতা, সীমাবদ্ধতা, যোগাযোগ বৈকল্য বিষয়ক তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক দিক নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করছি। উদ্ভাবনী গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামাজিক পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ থেকে চিন্তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত।