ডিয়েনা মেইনকে চাইতেন মানুষ যেন উচ্চমাত্রার শব্দঘটিত শ্রবনশক্তি হ্রাস প্রতিরোধে নিজের ক্ষমতাটা বুঝতে পারে। Dangerous Decibels প্রোগ্রামের সহ-পরিচালক হিসেবে, তিনি স্কুল-বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে এই কাজটি প্রথমে শুরু করেছিলেন। মেইনকে বলেছেন যে, এই জনস্বাস্থ্য উদ্যোগটি প্রাথমিকভাবে চতুর্থ এবং পঞ্চম গ্রেডারের শিক্ষার্থীদের দিকে প্রথমবার নিরীক্ষা করেন কেননা গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় এই বয়সী শিশুরা তাদের স্বাস্থ্যের উক্ত অবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
নর্থান কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে মেইনকে ঝুঁকিপূর্ন শব্দের সংস্পর্ষে শ্রবণক্ষতি রোধ এবং পেশাগত শ্রবণ ক্ষতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই বিষয়টি তাকে বিপজ্জনক ডেসিবেল শব্দের দিকে আকৃষ্ট করেছিল। তার ক্যারিয়ারের সময়কালে একজন অডিওজলজিস্ট হিসেবে তার কর্মীরা আফসোস করে তাকে বলেন যে তাদেরও অল্পবয়সে শব্দ-প্ররোচিত শ্রবণশক্তি হ্রাস সম্পর্কে শিখা উচিত ছিল। তাই বিপজ্জনক ডেসিবেলের মধ্যে দিয়ে, সেই শিক্ষাকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কর্মীদের কাছে নিয়ে যাওয়ার আশা করেন মেইনকে।
এটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন
শব্দ-প্ররোচিত শ্রবনশক্তির ক্ষতিকে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত কেননা তাহলেই আপনি উক্ত বিষয়ে কিছু করতে পারবেন। এটি এমন একটি অসুস্থতা যা আপনার জীবন মান, চাকরি জীবনে সফলতা, আপনার সামগ্রিক সাস্থ্য, এমনকি আপনার ব্যাক্তিগত সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।
সমাজিক প্রচেষ্টা
পরিবর্তনগুলো শুরু করতে হবে ব্যাক্তিগত ও সামাজিক স্তরে। এই প্রচেষ্টায় অভিবাবকদের শিক্ষা দেওয়া হয় যেন তারা তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন, বিভিন্ন সংস্থা ও স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এটি উচ্চতর শব্দ নিয়ে কাজ করার সুযোগ সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপার নয়, বরং এটি আপনাকে শেখায় উক্ত কাজগুলো করার সময় কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন।
জীবনব্যাপি শ্রবনশক্তি ঠিক রাখা
জীবনব্যাপি এর প্রভাব বহন করা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমাদের বয়ঃসন্ধির পূর্বেই কাজ শুরু করতে হবে। এবং এটি মোটেই কোনো এককালীন প্রচেষ্টা নয়। আপনার শিশু কৈশোরে পৌছাবার আগেই আপনাকে তার শ্রবনঘটিত বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।
শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করা
নিরাপদ শ্রবন বিষয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে, তাদের দ্বারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শেখানো অত্যন্ত ভালো একটি পদক্ষেপ। কেননা এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের স্বাস্থ্যজ্ঞানের পরিবর্তন হয়। আর এই বয়সের শিক্ষার্থীরা শেখানোর ব্যাপারে পূর্ণ দায়িত্বশীল থাকে। তাই ছোট বাচ্চাদের শেখানোর মাধ্যমে তারা নিজস্ব আচরনের পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে।
[এটি জিলিয়ান কর্নক এর লেখা একটি আর্টিকেল যা ASHA Leader ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সেটি অনুসরণ করে বাংলায় লেখা হয়েছে]
সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে চাই যেন আমি জীবিত না থাকলেও, আমার নামটি সম্মানের সাথে বেঁচে থাকে। আমি বিশ্বাস করি, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্যই আমার জন্ম।