২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীন ছিল। বছরের একটি বড় সময় এই পরিবারগুলোয় অপর্যাপ্ত অর্থ এবং খাবারের অন্যান্য সংস্থানগুলির সংকটের কারণে এক বা একাধিক সদস্যদের পর্যাপ্ত খাবারের যোগান ছিলোনা। একটি পরিবারের খাদ্য সুরক্ষাকে প্রভাবিত করে এমন অন্যতম শক্তিশালী প্রভাবকগুলোর মধ্যে প্রতিবন্ধকতা অন্যতম। অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর [ইআরএস] গবেষণায় দেখা গেছে যে ২০০৯-১০ এ, যেসব পরিবারে কর্মক্ষম ব্যক্তি সম্প্রতি কোনো শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতার দরুন কাজ করতে পারেননি সেসব পরিবারের এক তৃতীয়াংশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিলো না। এক চতুর্থাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীন ছিলো যেখানে আগে থেকেই একজন প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্য রয়েছেন। এর তুলনায় যেসব পরিবারে কোনো প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্য নেই সেখানে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতরেখার নিচে অবস্থান করছে মাত্র ১২ শতাংশ পরিবার।
স্পষ্টত খাদ্য-নিরাপত্তাহীনতা এবং প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্যের উপস্থিতির মধ্যে একটি যোগসূত্র বিদ্যমান। খাদ্য নিরাপত্তার সাথে যেসব বিষয় সম্পর্কিত যেমন অপর্যাপ্ত আয়, খাদ্য পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রমের ঘাটতি এসব খাদ্য নিরাপত্তাহীন জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে নির্দেশ করে। কিন্তু এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম এবং প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যক্তি উন্নয়নের জন্য প্রচলিত কার্যক্রমগুলো প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার মতো মৌলিক চাহিদাও নিশ্চিত করতে পারেনি।
উপার্জন হ্রাস এবং ব্যয়বৃদ্ধি এসব পরিবারগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলছে। সুতরাং যে পরিবারগুলিতে প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যক্তিদের উপস্থিতি রয়েছে তারা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ।
প্রতিবন্ধিত্ব প্রায়শই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তার পরিচর্যা করা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপার্জন হ্রাস করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন হুইলচেয়ার বা বিশেষ টেলিফোন এবং প্রতিবন্ধকতার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যয়ের সাথে সাথে পারিবারিক আবশ্যিক ব্যয়গুলি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্ভাবনা অনেকগুনে বাড়িয়ে তুলে। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যক্তিদের সাধারণ ব্যক্তিদের চেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য বেশি আয়ের প্রয়োজন হয় কারণ তারা তাদের প্রতিবন্ধকতার সাথে সম্পর্কিত একটি অতিরিক্ত উচ্চব্যয় বহন করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি ম্যাথমেটিকা পলিসি রিসার্চ নামে একটি সংগঠনের গবেষণায় দেখা গেছে যে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ-করতে অক্ষম প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যক্তির পক্ষে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একজন প্রতিবন্ধকতাহীন সাধারণ মানুষের আয়ের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি আয় প্রয়োজন।
প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যক্তিদের নিজের জন্য খাবার কেনা, স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করা এবং খাদ্য সংস্থান পরিচালনা করতেও কিছু সমস্যা হতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে এমন পরিবারগুলিতে খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতার বেশি সম্ভাবনা থাকা ছাড়াও সেইসব পরিবারগুলির জন্য এটি আরো মারাত্মক সমস্যা হিসেবে আসতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টিমানের উপর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এই প্রভাবগুলি আরো বেশি হতে পারে। তাদের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অপর্যাপ্ত খাবার বা নিম্নমানের ডায়েটের দ্বারা আরও বাড়তে পারে।
প্রতিবন্ধী প্রাপ্ত বয়স্কদের অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আরও গুরুতর। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে এমন পরিবারগুলির মধ্যে কেবল খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শুধু সাধারণ নয়, বরং এই পরিবারগুলিতে এটি আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, খাদ্য-নিরাপত্তহীন যেসব পরিবারগুলিতে একজন প্রতিবন্ধকতাসহ প্রাপ্তবয়স্ক অন্তর্ভুক্ত সেসব পরিবার অন্যান্য খাদ্য-নিরাপত্তাহীন পরিবারের তুলনায় খাদ্য নিরাপত্তা রেখার আরো নিচে নামার প্রবনতা দেখায় অর্থাৎ এসব পরিবার “খুব কম খাদ্য সুরক্ষা(very low food security)” সীমায় অবস্থান করে । ”খুব কম খাদ্য সুরক্ষা’ ‘ হলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মারাত্মক পরিসীমা যা শুধু খাবারের মান হ্রাস না বরং খাবারের পরিমানেও তীব্র ঘাটতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। সকল খাদ্য-নিরাপত্তাহীন পরিবারগুলির খাদ্যমানই নিম্নগামী কিন্তু যেসব পরিবার “খুব কম খাদ্য সুরক্ষা” শ্রেনীভূক্ত তাদের শুধু খাদ্যের পুষ্টিগুণ কম না বরং এমন হয় প্রায়শই পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যের খাবারের যোগান থাকে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত খাদ্য-নিরাপত্তাহীন পরিবারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ “খুব কম খাদ্য সুরক্ষা” বিভাগে অবস্থান করছে। এই বিভাগে যাদের পরিবারে একজন প্রতিবন্ধকতাসহ প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য আছেন তাদের সংখ্যাই প্রায় অর্ধেক।
২০০৯-১০ সালে, প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমশক্তিতে ছিলেন না এমন সদস্যযুক্ত পরিবারগুলোর ১৭.৩ শতাংশ পরিবারের অবস্থান ছিলো খুব কম খাদ্য সুরক্ষা বিভাগে। কর্মক্ষম বয়সের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিবন্ধকতাসহ ব্যাক্তি আছে এমন পরিবারের ১১.৮ শতাংশ পরিবার খুব কম খাদ্য সুরক্ষা শ্রেনীভূক্ত ছিলো। তুলনামূলকভাবে, যে পরিবারগুলিতে কর্মক্ষম বয়সের প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্য ছিলো না অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধ প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্য ছিলেন তাদের মধ্যে ৪.৬ শতাংশের অবস্থান ছিলো এই বিভাগে।
প্রতিবন্ধী সদস্য আছে এমন পরিবারগুলি সমস্ত খাদ্য-নিরাপত্তাহীন পরিবারের একটি বড় অংশ এবং খুব কম খাদ্য সুরক্ষা শ্রেনীভূক্ত পরিবারের আরও বড় অংশ ধারণ করেছে। ২০০৯-১০ সালে, খুব কম খাদ্য সুরক্ষা সহ এক-চতুর্থাংশ (২৬ শতাংশ) পরিবারের মধ্যে এমন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল যিনি প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমশক্তিতে ছিলেন না। অতিরিক্ত ১১.৯ শতাংশ পরিবারে খুব স্বল্প খাদ্য সুরক্ষা আছে এমন পরিবারে প্রতিবন্ধকতাসহ একজন প্রাপ্তবয়স্ক উপস্থিত ছিলেন। সামগ্রিকভাবে, খুব কম খাদ্য সুরক্ষা সহ প্রায় ৩৮ শতাংশ পরিবারে উপার্জনক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
প্রতিবন্ধকতা মাঝারি-আয়ের পরিবারগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্ভাবনা উচ্চ করছে।
পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ের পরিমাণ হ্রাস হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় কর্মসংস্থান এবং আয়ের সূচকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে উপার্জন-সুযোগ হ্রাস এবং কম আয় তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকে উচ্চ হারে নিয়ে যায় । কর্মসংস্থান এবং আয়ের প্রভাবগুলি বিবেচনা করার পরেও, প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি আছে এমন পরিবারগুলি অন্যান্য পরিবারের তুলনায় খাদ্য নিরাপত্তাহীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নেই এমন পরিবারগুলির চেয়ে প্রতিবন্ধকতাসহ সদস্য আছে এমন পরিবারগুলির তাদের প্রাথমিক চাহিদা পূরণের জন্য উচ্চ আয়ের প্রয়োজন।
আয়ের পরিমানের ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হারের তুলনা করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে এমন পরিবারের অতিরিক্ত খরচের চিত্র দেখা যায়। কম উপার্জনের স্বাভাবিক ব্যক্তির পরিবারের চেয়ে কম উপার্জন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে এমন পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বেশি। এমনকি যেসব পরিবার দারিদ্রসীমার চেয়ে তিনগুণ বেশি আয় করেছেন তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্ক অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে তারা খাদ্য নিরাপত্তাহীন হওয়ার তুলনামূলকভাবে উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবন্ধী সহায়তা, খাদ্য সহায়তা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা:
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তাদের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে সহায়তা করার জন্য সরকারী এবং স্থানীয় সহায়তা সংস্থাগুলো কাজ করে। এই কার্যক্রমগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিম্ন আয়ের এবং উচ্চ ব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা দেওয়ার জন্য চলমান। অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এই সহায়তা পাবার পরেও খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছেন না। তাই বিভিন্ন স্থানে সম্পূরক সুরক্ষা আয় (এসএসআই) কার্যক্রম প্রতিবন্ধী স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য কাজ করে।
প্রতিবন্ধী সহায়তার কার্যক্রমে প্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি, বিশেষত যারা তাদের প্রতিবন্ধকতার কারনে কাজ করে সংসার ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবন্ধকতার কারণে শ্রমশক্তিতে না থাকা সদস্যসহ প্রায় ৭৩ শতাংশ পরিবার এসএসআই, এসএসডিআই বা অন্যান্য প্রতিবন্ধী সহায়তা পান। এসএসডিআই বা অন্যান্য প্রতিবন্ধী সহায়তা প্রাপকদের তুলনায় এসএসআই প্রাপকদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি। এসএসআই প্রাপক পরিবারগুলির মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ হার এসএসআইয়ের জন্য যোগ্যদের মধ্যে আরও গুরুতর প্রতিবন্ধকতার কারণেও হতে পারে। এটি এও ইঙ্গিত করতে পারে যে এসএসআই সুবিধাগুলি নিম্ন স্তরের আরও বেশি গুরুতর প্রতিবন্ধীদের উচ্চ আয় এবং উচ্চ ব্যয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয় না যা পরিবারের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
প্রতিবন্ধীদের জন্য খাদ্য সুরক্ষা উন্নত করা প্রয়োজনঃ
এই গবেষণাটি দেখায় যে প্রতিবন্ধী সহায়তা প্রোগ্রাম এবং খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রোগ্রামগুলি তাদের বর্তমান কার্যক্রমেরমধ্যে প্রতিবন্ধকতাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেয় না। এই ব্যক্তিরা তাদের খাদ্য সুরক্ষা অবস্থার উন্নতি করতে প্রোগ্রামের সমন্বয় এবং প্রোগ্রামের সংশোধনগুলি থেকে উপকৃত হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ভবিষ্যতের গবেষণায় দেখাতে পারে যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্যের জন্য বর্ধিত কর্মসংস্থান কেমন ভূমিকা রাখে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খাদ্যসংস্থান পরিচালনা করতে, দোকানে যেতে, এবং কেনা ও তাদের নিজের থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করতে কি কি অসুবিধা হতে পারে।
প্রতিবন্ধী সদস্যদের সাথে বিশেষত পরিবারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সরকারী এবং বেসরকারী খাদ্য সহায়তা প্রোগ্রামগুলি তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয় । প্রতিবন্ধী শিশুদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতি আছে এমন পরিবারে খাদ্য-নিরাপত্তাহীন পরিবারের বৃহত্তর অংশ। আরো নতুন এবং নানামুখী সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ এখানে জরুরি প্রয়োজন।
[এই লেখাটি আমেরিকান অর্থনৈতিক ব্যুরোর কয়েকটি গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে আলিশা কোলম্যান এবং মার্ক নর্ড এর লিখিত একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলাভাষায় ভাষান্তর করা হয়েছে। এটি আমবার ওয়েব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিজেকে উদ্যমী, সাহসী, স্বাধীনচেতা এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার।সমাজের তথাকথিত স্ট্যান্ডার্ড এবেইলজমের বিপরীতে তথাকথিত অক্ষম মানুষদের সক্ষমতার পরিচয় সকলের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।