অটিজম অভিশাপ (?)

অটিজম আজ শুধু সারা পৃথিবীতেই নয় আমাদের দেশেও বহুল আলোচিত একটি শব্দ। তবে আমাদের অনেকেরই এই শব্দটি জানা থাকলেও প্রকৃতভাবে এই শব্দটি কেন বহুল আলোচিত তা সম্পর্কে ধারণা নেই।

আমরা অটিজম শব্দটিকে সাময়িক বিনোদনের অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছি। কথায় কথায় বন্ধুদের অটিস্টিক বলে হেনস্তা করতে ভালবাসছি। কিন্তু একবারও অটিজম কি তা জানার চেষ্টা করিনি। করবই বা কেন? আমরা তো আর অটিজমে আক্রান্ত না, তাই না?

অটিজম কি?
হয়তো অটিজম সম্পর্কে আপনি জানেন কিন্তু সম্পুর্ণ ধারণা নেই। তাহলে ধারণাটা নিন।
‘’অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (ASD) একটি জটিল স্নায়বিক বিকাশ সংক্রান্ত রোগের শ্রেণী। সামাজিক বিকলতা, কথা বলার প্রতিবন্ধকতা, এবং সীমাবদ্ধ, পুনরাবৃত্তিমূলক এবং একই ধরনের আচরণ দ্বারা এটা চিহ্নিত হয়। এটা একটি মস্তিষ্কের রোগ যা সাধারণত একজন ব্যক্তির অন্যদের সাথে কথা বলার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।‘’

এখন চলুন আপনাদেরকে অটিজমের (ASD) ধরণ সম্পর্কে একটু ধারণা দেই। ASD র ধরণগুলো হল:

অটিস্টিক ডিজঅর্ডার যা ‘ক্লাসিক অটিজম’ নামেও পরিচিত : এটা অটিজমের সাধারণ ধরন। অটিস্টিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত লোকেদের সাধারণত গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষাগত বাধা থাকে। এক্ষেত্রে সামাজিক ও ভাষা বিনিময়ে প্রতিবন্ধকতা থাকে এবং অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় । এই রোগে আক্রান্ত অনেক লোকের বুদ্ধিগত অক্ষমতা থাকতে পারে।

এসপারজার সিন্ড্রোম : এসপারজার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত লোকেদের অটিস্টিক ডিজঅর্ডারের হালকা উপসর্গ থাকে। এদের মধ্যে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যাইহোক, এদের সাধারণত ভাষা বা বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা বা সমস্যা থাকে না।

পার্ভেসিভ ডেভোলাপমেন্টাল ডিজঅর্ডার যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি সংক্রান্ত রোগ – অন্যভাবে চিহ্নিত করা যায় না (PDDNOS বলা হয়) : এটিকে “এটিপিকাল অটিজম” বলা হয়। যেসব লোকেদের মধ্যে অটিস্টিক ডিজঅর্ডার বা এসপারজার সিন্ড্রোম নির্ণায়ক কিছু উপসর্গ দেখা যায়, কিন্তু সব উপসর্গ দেখা যায় না , তাদের সাধারণত: পি ডি ডি -এন ও এস হিসাবে রোগ নির্ণয় করা হতে পারে। পি ডি ডি -এন ও এস আক্রান্ত লোকেদের মধ্যে সাধারণত অটিস্টিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত লোকেদের থেকে কম এবং হালকা উপসর্গ দেখা যায়। এই উপসর্গগুলি শুধুমাত্র সামাজিক ও ভাষা বিনিময় সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

উপসর্গ – লক্ষণ:

ASD সাধারণত একজন লোকের ৩ বছর বয়স বা তার আগে শুরু হয়ে শেষ জীবন পর্যন্ত থাকতে পারে, যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ কমে যেতে পারে। ASD আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশর জীবনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে ভবিষ্যতে সমস্যার ইঙ্গিত দেখা যেতে পারে। অধিকাংশ ASD আক্রান্ত শিশুদের তাদের জীবনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই ভবিষ্যতে সমস্যার সংকেত দেখা যায়। অন্যদের মধ্যে , ২৪ মাস বা তারও পরে উপসর্গ দেখা যেতে পারে। কিছু ASD আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে বলে মনে হয় এবং তারপর তারা নতুন দক্ষতা অর্জন বন্ধ করে দেয় অথবা পূর্বের অর্জিত দক্ষতা হারিয়ে ফেলে।

লক্ষণগুলো জেনে নিলে ভাল হয় না আমাদের? চলুন জেনে নেয়া যাক। একজন ASD আক্রান্ত শিশুর মধ্যে যা যা দেখা দিতে পারে :

  • ১২ মাস বয়সেও তার নাম ধরে ডাকলে প্রতিক্রিয়া করে না।
  • ১৮ মাস বয়সে খেলতে পারে না।
  • এরা সাধারণত অন্যের চোখের দিকে সোজাসুজি তাকানো এড়িয়ে যায় এবং একা থাকতে পছন্দ করে।
  • এই শিশুরা অন্য মানুষের অনুভূতি বুঝতে বা তাদের নিজস্ব অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে অসুবিধা অনুভব করে।
  •  এই শিশুরা দেরী করে কথা বলা এবং ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
  • শব্দ বা ছোটো ছোটো বাক্য বারবার বলতে থাকে (ইকোলালিয়া)।
  •  প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কহীন উত্তর দেয়।
  • কোনো ছোটখাটো পরিবর্তন পছন্দ করে না।
  • কিছু বদ্ধমূল আগ্রহ থাকে।
  • কিছু কিছু সময় তারা তাদের দুই হাতে ঝাপট মারতে থাকে, তাদের শরীর দোলাতে থাকে, অথবা চক্রাকারে ঘোরাতে থাকে।
  •  কিছু শব্দের, গন্ধ, স্বাদ, চেহারা বা অনুভবের সঙ্গে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
  •  তারা নিজেরা আলাদা জগৎ সৃষ্টি করে এবং সেই জগৎ নিয়েই একা থাকতে পছন্দ করে
  •  যখন অন্য কেউ তাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট দিকে লক্ষ্য করার নির্দেশ দেয়, তখন তারা সেদিকে নজর দিতে পারে না।
  • যেকোনো একটি দিকে বেশি নজর দেয় (যেমনঃ মাথার উপর খোলা আকাশের দিকে নজর দেয়া )

স্বাভাবিকভাবেই আপনারা এটা জানতে চাইতে পারেন এই রোগের কারণ কি? অন্যান্য সব রোগের তো একটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে, তাহলে অটিজম হওয়ার কারণটা কি? হ্যা, সেটা জানার প্রয়োজনীয়তাও আছে। ASD হওয়ার সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি , কিন্তু এটা জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণের জন্য সম্ভবত হতে পারে। এই রোগের সঙ্গে যুক্ত জিনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ASD আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণায় এর কারণ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়মিতিভাবে পাওয়া গেছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কের সেরোটোনিন বা অন্যান্য নিউরোট্র্রান্সমিটার অস্বাভাবিক মাত্রায় আছে। এই সব অস্বাভাবিকতা ধারণা দেয় যে ভ্রূণ বৃদ্ধির প্রারম্ভিক অবস্থায় স্বাভাবিক মস্তিস্কের বৃদ্ধিতে গোলমাল দেখা যায় জিনের অস্বাভাবিকতার জন্য যা মস্তিস্কের বৃদ্ধি এবং মস্তিস্কের কোষগুলির নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। ধারণা করা হয় জিন ও পরিবেশগত উপাদানের প্রভাবে ASD রোগের সৃষ্টি হয়। গর্ভাবস্থাজনিত সমস্যার কারনেও শিশু অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে।

কিভাবে বুঝবেন যে আপনার পরিবারের একটি শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অটিজম (ASD) আছে?

ASD নির্ণয় করা কঠিন হয় কারণ এখানে কোনো ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন রক্ত পরীক্ষার মতো কোনো পরীক্ষা এক্ষেত্রে নেই যার দ্বারা এই রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসক শিশুর আচরণ এবং বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে এই রোগ নির্ণয় করতে পারেন। যাইহোক, শিশুদের একটি শ্রবণযোগ্য মূল্যায়ন এবং অটিজমের জন্য একটি বাছাই পরীক্ষা করা যেতে পারে যেমন শিশুদের জন্য অটিজমের চেকলিস্ট।

পাঠ্যবইয়ের মত আমিও অনেক কঠিনভাবে আপনাদেরকে বোঝাচ্ছি তাই না? এখন একটু সহজ আর সাবলিল হই। দীর্ঘ সময় বইয়ের ভাষায় কথা বললে একঘেয়েমি চলে আসে। হাল্কা রসবোধের দরকার হয় তখন।

এখন মনে করুন আগামীকাল আপনার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা। যে পরীক্ষার জন্য আপনি সারা বছর অমানুষিক পরিশ্রম করলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগের রাতে এসে দেখলেন আপনার সারা বছরের পরিশ্রম এক রাতে দুধে লেবু দিয়ে গুলিয়ে ফেলার মত অবস্থা করে ফেলেছেন। ফলে কি হলো? সবই পণ্ডশ্রম। দুধ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি আপনার সারাবছরের অর্জিত জ্ঞানও গেল রসাতলে। এই মুহূর্তে আপনি করবেন? নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন সবকিছু মনে করার জন্য আবারো রিভাইস দেয়ার যেন আগামীকালের পরীক্ষা ভাল দিতে পারেন। অটিজমে (ASD) আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে। তারা জন্মের পর একটা নির্দিষ্ট বয়সে এসে পূর্বে অর্জিত সব কিছু ভূলে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি? এই রোগের কোনো নিরাময় নেই। যাইহোক, এটা ঔষধ এবং বিশেষজ্ঞ-শিক্ষার সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শিশুর সেবা করলে শিশুর উন্নতিতে সাহায্য হয়। এই সকল সেবাযত্ন বলতে শিশুদের কথা বলা, হাঁটতে পারা এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বিনিময় করা বোঝায়। সুতরাং, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রথমে শিশু চিকিৎসকের সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কথা বলা।

কিছুদিন পূর্বে আমার কতিপয় বন্ধুদের সাথে অটিজম নিয়ে আলোচনা করার সময় উনারা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে অটিজম কি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য? আমি অতি দুঃখের সাথে জানিয়েছিলাম যে অটিজম পুরোপুরি নিরাময় করা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু সঠিক টেস্ট, চিকিৎসা, থেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুদের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ জীবন আচরণ স্বাভাবিক গন্ডির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব। এর ফলে শিশুটি নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কাজ থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কাজেও অংশগ্রহণ করতে পারে। চিকিৎসা গ্রহণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে বিয়ে ও সংসার করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব। বর্তমানে দেশের অনেক শিশুই অটিস্টিক হওয়া সত্তেও স্বাভাবিক জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে।

কেন আমরা অটিজম (ASD) সম্পর্কে জানবো এবং অটিজমে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে আমাদের কেন ভাবতে হবে?

অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা অনেক ক্ষেত্রেই কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে অনেক দক্ষ থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা গণিতে অনেক দক্ষ,অনেকেই আঁকাআকিতে দক্ষ, অনেক শিশুরা গান ও নাচেও দক্ষ হয়ে থাকে। যদিও অটিজম একধরনের অক্ষমতা, তা সত্ত্বেও পৃথিবীর বেশকিছু বিখ্যাত মানুষ অটিজমের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমুহ প্রকাশ করে গেছেন। আর এজন্যেই তাদের সম্পর্কে আমাদের ধারনা হয় যে, তারা ছিলেন অটিস্টিক। এখন আমরা অটিজম কিংবা এসপারজার্স সিনড্রোমে আক্রান্ত এমন কয়েকজন ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানবো যারা অটিজমে আক্রান্ত হয়েও ছিলেন অসাধারণ এবং কিংবদন্তি।

আইজ্যাক নিউটন- ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ধর্মতত্ত্ববিদ, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং অপরাসায়নবিদ স্যার আইজ্যাক নিউটন ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।

আলবার্ট আইনস্টাইন- জার্মানে জন্মগ্রহণকারী আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

আব্রাহাম লিংকন- আইনজীবি, রাজনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আব্রাহাম লিংকন এবং তিনিই রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি।

এমিলি ডিকেনসন- মার্কিন সুবিখ্যাত ও শুদ্ধাচারী কবি এবং যশস্বী লেখিকার নাম এমিলি ডিকেনসন; সপ্তদশ শতাব্দীতে যার কবিতা ইংল্যান্ডের কবি সমাজে প্রচন্ডভাবে সমাদৃত ছিলো।

এডাম ইয়ং- একজন আমেরিকান সুরকার, বহু-বাদ্যযন্ত্রী, গীতিকার, গায়ক, প্রযোজক এবং আউল সিটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন এডাম ইয়ং।

চার্লি চ্যাপলিন- বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন কমেডিয়ান ব্রিটিশ অভিনেতা ছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। টিভির জগতে আসার পূর্বে তিনি শিশুদের নৃত্য দলের সাথে কাজ করেছিলেন।

হেনরি বন্ড- ইংরেজ লেখক হেনরি বন্ড একজন খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারও বটে।

বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামগুলো দেখে মনে হচ্ছে অটিজমের প্রচার বাড়াতে উল্লেখ করেছি? মোটেই না। আমরা ৩৫০ টাকার এনার্জি বাল্ব ৭৫% ডিসকাউন্টে ১০০ টাকায় বিক্রি করার মত প্রচারণায় নামিনি। আমরা নেমেছি সত্যকে জেনে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রচারণায়। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নত করতে, সকলের সহযোগীতা কামনা করে আমরা প্রচারণা কাজ চালাচ্ছি। আশা করি সকলে পাশে থাকবেন।

পরিশেষে যে কথাটি বলতেই হয়, অটিস্টিক মানেই বোকা, পাগল কিংবা মানুষিক রোগী নয়। অটিজমে আক্রান্তরা স্কুল-কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে সফলতার সঙ্গে ডিগ্রি অর্জন করার যোগ্যতা রাখেন। আর আটিজম ডিসঅর্ডার কখনো-ই তাঁদের সফলতার পথে বাধা হতে পারে না। এ পৃথিবীতে বহু বিখ্যাত ব্যক্তি কোনো না কোনো আটিজম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন, তবুও তাঁদের চলার পথ কখনো থেমে থাকেনি। যদিও আটিজম এর চিকিৎসার জন্য ঔষুধপত্র কিংবা নিরাময়ের কোনো কোর্স এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে আটিজম এ আক্রান্ত শিশুর প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা।

Leave a Comment

Skip to content